Inhouse product
প্রধান প্রিমিয়াম বিটরুট পাউডার
পণ্যের বিবরণঃ
বিট রুট পাউডার (Beetroot Powder) হলো শুকনো বিটরুটকে গুঁড়া করে তৈরি একটি সাপ্লিমেন্ট, যা নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ ও উদ্ভিদজাত উপাদান সমৃদ্ধ।
উপাদানঃ
১০০% প্রাকৃতিক শুকনো বিটরুট গুঁড়া
বিটরুট পাউডারের স্বাস্থ্য উপকারিতা
১। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
বিটরুটে উচ্চমাত্রায় নাইট্রেট থাকে, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তনালী শিথিল করে ও রক্তপ্রবাহ উন্নত করে।
এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
২। শরীরের শক্তি ও স্ট্যামিনা বাড়ায়
নাইট্রেট রক্তে অক্সিজেনের পরিবহন বাড়ায়, ফলে ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রমে অতিরিক্ত ক্লান্তি আসে না । এজন্যই অনেক অ্যাথলেট ট্রেনিংয়ের আগে বিটরুট জুস বা পাউডার গ্রহণ করেন।
৩। হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে
বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও বিটালেইন রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৪। লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
বিটালেইন নামক উপাদান লিভারকে টক্সিন থেকে সুরক্ষা দেয় ও ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে।
৫। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে
এতে প্রচুর আয়রন, ফলেট ও ভিটামিন-সি আছে, যা লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সহায়ক।
রক্তস্বল্পতায় উপকারী হতে পারে।
৬। হজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখে এবং দীর্ঘসময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
৭। ত্বক ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী
এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া, বিটরুট নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তপ্রবাহ ও অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়ে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়। এছাড়া এটি বয়সজনিত মানসিক সমস্যা কমাতেও সহায়ক।
বিটরুট পাউডার খাওয়ার উপায়
বিঃ দ্রঃ প্রতিদিন ৫–১০ গ্রাম (১–২ চা চামচ) যথেষ্ট
১। পানি বা জুসের সাথে
১ চা চামচ বিটরুট পাউডার গরম বা ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
আপনি চাইলে লেবুর রস বা কমলার জুসের সাথে মিশিয়েও বিটরুট পাউডার খেতে পারেন। এতে খাবারের স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনই আপনার দেহে ভিটামিন-সি এর ঘাটতিও দূর হবে।
২। স্মুদি ও শেকে
ফল (কলা, আপেল, বেরি) বা দুধ/দইয়ের স্মুদিতে ১ চা চামচ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে খেতে পারেন।
৩। ব্যায়ামের আগে
ব্যায়ামের ৩০–৪৫ মিনিট আগে বিটরুট পাউডার পানি বা জুসের সাথে মিশিয়ে খেলে
শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়ে। যা দেহে স্ট্যামিনা ও এনার্জি বাড়ায়।
৪। স্যুপ ও সালাদে
স্যুপ , ডাল বা সালাদের উপর হালকা করে ছিটিয়ে দিতে পারেন।
এতে রঙ ও স্বাদ বাড়বে, সাথে বাড়বে পুষ্টিগুণ।
৫। বেকড ফুড ও রেসিপিতে
পাউরুটি, কেক, চপ, প্যানকেক বা রুটি তৈরির সময় সামান্য বিটরুট পাউডার মিশিয়ে নিলে
খাবারের রং কিছুটা লালচে হলেও পুষ্টিগুণ বাড়বে।
৬। দই বা ওটসের সাথে
সকালে ওটস, কর্নফ্লেক্স বা দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট হবে।
পুষ্টিগুণ – প্রতি ১০০ গ্রাম পাউডারেঃ
ক্যালরি: ~৩৫০ kcal
কার্বোহাইড্রেট: ~৭০ g
ফাইবার: ~২০ g
প্রোটিন: ~১০ g
পটাশিয়াম: ~১৫০০ mg
আয়রন: ~৮ mg
ফলেট (B9): ~৫৫০ mcg
ডায়েটারি নাইট্রেট: ~১৫০০–২০০০ mg
বিটালেইন (শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট)
কেন প্রধান প্রিমিয়াম বিট রুট সেরা-
শতভাগ প্রাকৃতিক
নিজস্ব তত্বাবধানে উৎপাদিত পণ্য থেকে প্রক্রিয়াজাত করা
বিভিন্ন ধাপে পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করে গ্রাহকের নিকট সরবরাহ নিশ্চিত করা
কোন ধরনের কালার বা রঞ্জক বা প্রিজারভেটিভ যোগ করা হয় না
শতভাগ ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের বয়াম/জার ব্যবহার করা হয়েছে